দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩, যা এ বছর কোনো মাসে সর্বোচ্চ।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে ৩৬৪ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি ১২৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। এরপর চট্টগামের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮২, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬১ জন, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
গত জানুয়ারি থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৭৪৭ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
ডেঙ্গু বর্ষাকালে বেশি হলেও ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল অক্টোবরে। এবারও বর্ষা মৌসুমের পর ডেঙ্গুর প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মনে করেন বে-নজির আহমদ। তিনি বলেন, জুলাই মাস থেকে চলা আন্দোলনের মধ্যে সিটি করপোরেশনগুলোর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এখন তা বাড়াতে হবে গুরুত্বের সঙ্গে।
২০০০ সালে দেশে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। ব্যতিক্রম ছিল ২০২০ সাল। ওই বছর করোনা মহামারি দেখা দেয়। দেশে ডেঙ্গু রোগী ছিলেন কম, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু ছিল না। করোনা মহামারি শেষ না হতেই ২০২১ সাল থেকে আবার ডেঙ্গু বাড়তে থাকে।
করোনা মহামারি শুরুর পরের বছর ২০২১ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে মারা যান ১০৫ জন। মৃতের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৭। পরের বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুহার। ২০২২ সালে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৪৫।
ডেঙ্গু বর্ষাকালে বেশি হলেও ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল অক্টোবরে। এবারও বর্ষা মৌসুমের পর ডেঙ্গুর প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মনে করেন বে-নজির আহমদ। তিনি বলেন, জুলাই মাস থেকে চলা আন্দোলনের মধ্যে সিটি করপোরেশনগুলোর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এখন তা বাড়াতে হবে গুরুত্বের সঙ্গে।
২০০০ সালে দেশে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। ব্যতিক্রম ছিল ২০২০ সাল। ওই বছর করোনা মহামারি দেখা দেয়। দেশে ডেঙ্গু রোগী ছিলেন কম, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু ছিল না। করোনা মহামারি শেষ না হতেই ২০২১ সাল থেকে আবার ডেঙ্গু বাড়তে থাকে।
করোনা মহামারি শুরুর পরের বছর ২০২১ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে মারা যান ১০৫ জন। মৃতের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৭। পরের বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুহার। ২০২২ সালে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৪৫।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুর সব রেকর্ড ভেঙে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যুহার বেড়ে হয় শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।

0 Comments